হিসাববিজ্ঞান প্রথমপত্র
চতুর্থ অধ্যায় : রেওয়ামিল
সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর
সমস্যা-০১ [চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ২০১৯]
সালাম এন্টারপ্রাইজ এর ২০১৮ সালের ৩১
ডিসেম্বর তারিখের খতিয়ান উদ্বৃত্তগুলো নিম্নরূপ:
হিসাবের নাম
|
টাকা
|
হিসাবের নাম
|
টাকা
|
প্রাপ্য হিসাব
|
৪০,০০০
|
মূলধন
|
৬৫,০০০
|
প্রদেয় হিসাব
|
২৫,০০০
|
প্রদেয় নোট
|
২২,০০০
|
সেবা আয়
|
৭২,০০০
|
পুঞ্জিভূত অবচয়-কলকব্জা
|
৫,০০০
|
কলকব্জা
|
৫০,০০০
|
বেতন খরচ
|
২৫,০০০
|
অফিস খরচ
|
১০,০০০
|
বকেয়া ভাড়া
|
৬,০০০
|
বিমা খরচ
|
১৮,০০০
|
বন্ধকী ঋণ
|
২৬,০০০
|
প্রাপ্য লভ্যাংশ
|
১৫,০০০
|
নগদ তহবিল
|
?
|
উত্তোলন
|
৮,০০০
|
করণীয়:
(ক)
চলতি দায়ের মোট পরিমাণ নির্ণয় কর।
(খ)
উপর্যুক্ত খতিয়ান উদ্বৃত্ত দিয়ে একটি রেওয়ামিল তৈরি করে নগদ তহবিলের পরিমাণ
নির্ণয় কর।
(গ)
তৈরিকৃত রেওয়ামিলের হিসাবসমূহের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা/ক্ষতি
নির্ণয় কর।
সমাধান:
ক) চলতি দায়ের পরিমাণ নির্ণয়:
হিসাবের নাম
|
টাকা
|
প্রদেয় হিসাব
|
২৫,০০০
|
প্রদেয় নোট
|
২২,০০০
|
বকেয়া ভাড়া
|
৬,০০০
|
মোট
=
|
৫৩,০০০
|
নোট: অনেকে ‘পুঞ্জিভূত
অবচয়-কলকব্জা’ কে ‘চলতি দায়’ হিসাবে দেখান। কিন্তু এটি আসলে ‘কন্ট্রা/বিপরীত সস্পদ’ হিসাব। তাই ‘চলতি দায়’ হিসাবে দেখানো উচিত
হবে না।
খ) রেওয়ামিল তৈরি করে নগদ
তহবিলের পরিমাণ নির্ণয়:
সালাম
এন্টারপ্রাইজ
রেওয়ামিল
৩১
ডিসেম্বর ২০১৮
ক্রমিক
নং
|
হিসাবের
নাম
|
সূত্র
|
ডেবিট
জের
টাকা
|
ক্রেডিট
জের
টাকা
|
০১
|
প্রাপ্য হিসাব
|
৪০,০০০
|
||
০২
|
প্রদেয় হিসাব
|
২৫,০০০
|
||
০৩
|
সেবা আয়
|
৭২,০০০
|
||
০৪
|
কলকব্জা
|
৫০,০০০
|
||
০৫
|
অফিস খরচ
|
১০,০০০
|
||
০৬
|
বিমা খরচ
|
১৮,০০০
|
||
০৭
|
প্রাপ্য লভ্যাংশ
|
১৫,০০০
|
||
০৮
|
উত্তোলন
|
৮,০০০
|
||
০৯
|
মূলধন
|
৬৫,০০০
|
||
১০
|
প্রদেয় নোট
|
২২,০০০
|
||
১১
|
পুঞ্জিভূত অবচয়-কলকব্জা
|
৫,০০০
|
||
১২
|
বেতন খরচ
|
২৫,০০০
|
||
১৩
|
বকেয়া ভাড়া
|
৬,০০০
|
||
১৪
|
বন্ধকী ঋণ
|
২৬,০০০
|
||
১৫
|
নগদ তহবিল ( পার্থক্যের
পরিমাণ)
|
৫৫,০০০
|
||
মোট=
|
২,২১,০০০
|
২,২১,০০০
|
উত্তর: নগদ তহবিলের পরিমাণ
৫৫,০০০ টাকা।
গ) প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা/ক্ষতি
নির্ণয়:
সালাম
এন্টারপ্রাইজ
বিশদ
আয় বিবরণী
২০১৮
সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের
বিবরণ
|
টাকা
|
টাকা
|
ক) আয়সমূহ:
|
||
সেবা আয়
|
৭২,০০০
|
|
খ) খরচসমূহ:
|
||
অফিস খরচ
|
১০,০০০
|
|
বিমা খরচ
|
১৮,০০০
|
|
বেতন খরচ
|
২৫,০০০
|
|
৫৩,০০০
|
||
গ) মুনাফা [ (ক) - (খ)]
|
১৯,০০০
|
বিশেষ নোট:
- ‘প্রাপ্য লভ্যাংশ’ ও ‘বকেয়া ভাড়া’ বিশদ আয় বিবরণীতে দেখানো হয়নি। কারণ ‘প্রাপ্য লভ্যাংশ’ হলো ‘চলতি সম্পদ’ আর ‘বকেয়া ভাড়া’ হলো ‘চলতি দায়’।
- ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে খতিয়ানে ‘প্রাপ্য লভ্যাংশ’ হিসাবের যেহেতু উদ্বৃত্ত আছে, সেহেতু খতিয়ানে ‘প্রাপ্ত লভ্যাংশ’ হিসাবেরও উদ্বৃত্ত থাকা উচিত ছিল। মূলত: এটি প্রশ্নকর্তার অসাবধানতা ফসল। কেননা, প্রাপ্য লভ্যাংশ যখন হিসাবভুক্ত করার জন্য সমন্বয় জাবেদা দাখিলা দেয়া হয়েছিল তখন ‘প্রাপ্য লভ্যাংশ হিসাব’কে ডেবিট এবং ‘প্রাপ্ত লভ্যাংশ হিসাব’কে ক্রেডিট করা হয়েছিল। এখানে ধরে নেয়া হচ্ছে যে, ‘প্রাপ্ত লভ্যাংশ’ ‘সেবা আয়’-এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- অনুরূপভাবে, রেওয়ামিলে ‘ভাড়া খরচ’ থাকা উচিত ছিল। কেননা, বকেয়া ভাড়া যখন সমন্বয় জাবেদা দাখিলা মাধ্যমে হিসাবভুক্ত করা হয় তখন, ‘ভাড়া খরচ হিসাব’-কে ডেবিট এবং ‘বকেয়া ভাড়া হিসাব’-কে ক্রেডিট করা হয়েছিল। এখানে ধরে নেয়া হচ্ছে, ‘ভাড়া খরচ’ ‘অফিস খরচ;-এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment